বুদ্ধে পরতস্তু স:
-মানিক দাক্ষিত
তোমরা কি জানো তোমাদের ক্ষমতা অসীম?
কিন্তু ক্রমশ: কমে ছানিপড়া চোখের নিষ্প্রভ আলোয়
কিংবা স্নায়ুর তীব্র উন্মাদনায়।
বৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডবে হাত-পা ছাড়ে,
তবুও জোনাকী জ্বলে বাবুই-এর শিল্পী বাসায়।
অন্ধকারের সাথে ভয়াবহতা বাড়ে
স্বপ্ন গড়ায় অবচেতন মনে।
ইস্পাতের চাকচিক্যতা ঢলে পড়ে
মরচে ধরে ধংসের আবর্জনায়।
অযত্নে বাদলের হাওয়ায় নিষ্ক্রিয়
বহুমুখী বারুদের অযথা শক্তি।
বর্ধিষ্ণু অস্থিতে কতকাল ক্ষয়িষ্ণু চিন্তা
নেড়ে যাবে অকাল ঘণ্টাটা।
যুগ যুগান্তরে ইন্দ্রিয়ের বশ্যতা স্বীকারে
দেখা গেল সুখের পরিণতি।
ঠিক কথা ইন্দ্রিয়ের অসুর শক্তি পরাস্ত হলেই
জীবের উর্দ্ধগতি মনের আলোকে।
বুদ্ধি বড় তর্কবাগীশ সতর্ক প্রহরী,
মনের শক্তি তাই তার কাছে জড়।
সকলে পরাস্ত কিন্তু আলো থেকে আলোয়
অবশেষে আত্মশক্তির চরম প্রকাশ।
পথ বড় দুর্গম– কণ্টকাকীর্ণ।
কর্মসংগ্রামে জয়লাভ সুনিশ্চিত
যদি জাগাতে পারো স্বীয় আত্মশক্তিকে।